
পার্কার সোলার প্রুফ যা মানুষের তৈরি, সবচেয়ে দ্রুতগতির বস্তু এটি ঘন্টায়, সর্বোচ্চ 6 লক্ষ 92 হাজার কিলোমিটার গতি, অর্জন করেছে অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে 192, কিলোমিটার তার মানে এক সেকেন্ডে নরসিংদী, থেকে সিলেট চলে যাওয়া যা আলোর গতির, 0064 শতাংশ গতি পার্কার সোলার প্রুফ, মানুষের তৈরির সবচেয়ে দ্রুতগতির বস্তু, সেই সাথে সূর্যের সবচেয়ে কাছে যাওয়া, বস্তু 2024 সালের 24শে ডিসেম্বর পার্কার, সোলার প্রুফ সূর্যপৃষ্ঠের 61 লক্ষ, কিলোমিটার উপর দিয়ে কে ক্রস করে যা এক, অর্থে সূর্যকে স্পর্শ করা সূর্যের পাশে, কোন একটি বস্তু পাঠানো যতটা কঠিন সূর্যের, কাছে গিয়ে সূর্যের উচ্চ তাপমাত্রার, বিপরীতে টিকে থাকা তার চেয়েও কঠিন এবং এই, জন্যই 60 বছর সময় লেগেছে পার্কার সোলার, প্রোবের মত একটি মিশন পরিচালনা করতে যা, মানুষের উল্লেখযোগ্য একটি অর্জন আজকের, ভিডিওতে পার্কার সোলার প্রোভ সম্পৃক্ত, বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বলা হবে আমি, জুম্মান আছি আপনাদের সাথে আপনারা দেখছেন, বিজ্ঞান পাইসি, সূর্য আকাশে গ্লো করতে থাকা শুধুমাত্র, একটি গোলক নয় বরং আমাদের সম্পূর্ণ, সৌরমন্ডলের শক্তির উৎস হচ্ছে এই সূর্য, আপনার হাঁটাচলা কিংবা কথা বলার জন্য যে, শক্তির প্রয়োজন সেই শক্তির উৎস মূলত, হচ্ছে সূর্য এখন সূর্য থেকে নির্গত শক্তির, পরিমাণ যদি আকস্মিকভাবে বেড়ে যায় তবে তা, পৃথিবীর জন্য হবে ধ্বংসাত্মক যা বড়, পরিসরে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল 1859 সালের, সেপ্টেম্বরে তখন একটি শক্তিশালী সৌরঝড় বা, সোলার স্ট্রোম পৃথিবীকে অতিক্রম করে যার, প্রতিক্রিয়ায় পৃথিবীতে বিভিন্ন, জিওম্যাগনেটিক ইভেন্ট সংঘটিত হয় যেমন, রাতের বেলায় সংবাদপত্র পড়ার মতো আলোর, উপস্থিতি দুই মেরুর অরোরার বিশ্ববিয়, অঞ্চলের দিকে বিস্তৃতি লাভ করা ওই সময়ের, টেলিগ্রাম সিস্টেম অকার্যকর হয়ে যাওয়া, সোলার স্টোন থেকে নির্গত ইলেকট্রিক্যাল, এনার্জির ফলে টেলিগ্রাম যন্ত্রগুলো কোন, প্রকার পাওয়ার সাপ্লাই ছাড়াই নিজে নিজে, চলতে শুরু করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে, টেলিগ্রামে থাকা কাগজে আগুন লেগে গিয়েছিল, আবার কিছু ক্ষেত্রে টেলিগ্রাম যন্ত্রকে, টাচ করলে শখ লাগছিল তার মানে পৃথিবীতে, ভূমিকম্প জলোচ্ছাসের মত যে প্রাকৃতিক, দুর্যোগ দেখা যায় তার চেয়ে বহুগুণে, মারাত্মক হচ্ছে এই সৌরঝড় বা সোলার, স্ট্রোম বর্তমানে শক্তিশালী একটি সৌরঝড়, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে মারাত্মক হবে, কারণ বর্তমান পৃথিবী অনেকাংশেই, ইলেকট্রিসিটি এবং ইলেকট্রিসিটি রিলেটেড, টেকনোলজির উপর নির্ভরশীল অন্যদিকে সোলার, স্ট্রোমে থাকা পার্টিকেল মূলত হচ্ছে চার্জ, পার্টিকেল যা কারেন্ট তৈরি করে এর ফলে, আমাদের পাওয়ার স্টেশন গুলোতে কারেন্ট, ওভারলোড হয়ে যাবে ফলাফল পাওয়ার স্টেশন, গুলোতে আগুন ধরে যাবে স্যাটেলাইট সহ সকল, ধরনের কমিউনিকেশন সিস্টেম ডাউন হয়ে যাবে, অনলাইন ট্রান্জেকশন করা সম্ভব হবে না যা, অর্থনৈতিক ধ্বস নিয়ে আসবে মোট কথা আমাদের, যাবতীয় টেকনোলজি ডাউন হয়ে যাবে স্পেসে, থাকা অ্যাস্ট্রোনটরা মাত্রা অতিরিক্ত, রেডিয়েশনের সম্মুখীন হবেন যা তাদের শরীরে, ক্যান্সার তৈরি করবে এখন এমন বাস্তবতায়, প্রশ্ন হচ্ছে এর বিপরীতে আমাদের কি করার, আছে এই প্রশ্নের উত্তর একটাই সেটা হচ্ছে, সূর্যকে ভালোভাবে স্টাডি করা সেই সাথে এর, থেকে নির্গত সোলার উইন্ড স্টাডি করা যেন, আমরা এর পূর্বাভাস দেয়ার মত টেকনোলজি, ডেভেলপ করতে পারি এর বাইরে সূর্য যেহেতু, পৃথিবীর যাবতীয় শক্তির উৎস সেহেতু এই, সূর্য সম্পর্কে আমাদের যতটা সম্ভব জানা, প্রয়োজন এবং এমন চিন্তা থেকে সূর্যের, স্পেসক্রাফট পাঠানোর পরিকল্পনা করা, হয় 1958 সালে বিজ্ঞানীরা সূর্যের, অ্যাটমোস্ফিয়ারে স্পেসক্রাফট পাঠানোর, ক্ষেত্রে পার্কার সোলার প্রোবের কনসেপ্ট, সামনে আনেন কিন্তু এটি এতটাই চ্যালেঞ্জিং, ছিল যে যা বাস্তবে রূপ নিতে প্রায় 60 বছর, সময় লেগে যায় 2018 সালের 12ই আগস্ট লঞ্চ, করা হয় নাসা পার্কার সোলার প্রুফ এই, স্পেসক্রাফট এর নামকরণ প্রথমবারের মতো, একজন জীবিত মানুষের নামে করা হয়েছে এবং, তিনি হচ্ছেন ইউজিন, তিনি একজন সোলার, ফিজিসিস্ট পার্কার সোলার প্রুফ লঞ্চ করার, পর এটিকে সূর্যের চারপাশে একটি, উপবৃত্তাকার অরবিটে নেয়া হয় উপবৃত্তাকার, অরবিটের যে অংশটি টার্গেট করা বস্তুর, সবচেয়ে কাছে থাকে তাকে বলা হয়, প্যারাহিলিয়ন কোন একটি অবজেক্ট যখন ওই, অংশটিকে অতিক্রম করে তখন তার বেগ অরবিটের, অন্য সকল স্থান থেকে সবচেয়ে বেশি থাকে, এখন পার্কারসোলার প্রোবের এই উপবৃত্তাকার, অরবিটের শেপ ছোট করতে পারা মানে, প্যারাহিলিয়ন অংশের সূর্যের আরো কাছে, যাওয়া এখন এমন করার জন্য স্পেসক্রাফটের, গতি কমানো প্রয়োজন এই ক্ষেত্রে ভিনাসের, গ্রাভিটি অ্যাসিস্ট ব্যবহার করা হয়, সাধারণত গ্রাভিটি অ্যাসিস্ট এর মাধ্যমে, কোন একটি স্পেসক্রাফটের গতি বাড়ানো হয়, তবে গ্রাভিটি অ্যাসিস্ট এর মাধ্যমে কিন্তু, স্পেসক্রাফটের গতি কমানো যায় পার্কার, সোলার প্রোবের ক্ষেত্রে এই কাজটি করা, হয়েছে ভিনাসের গ্রাভিটি অ্যাসিস্ট, ব্যবহার করে পার্কার সোলার প্রোবের গতি, কমিয়ে অরবিটের প্যারাহিলিয়ন অংশকে, সূর্যের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে 2018, সালে লঞ্চ করার পর সাতটি ভিনাস ফ্লাইবাই, বা সাতবার ভিনাসের গ্রাভিটি অ্যাসিস্ট, ব্যবহার করে গতি কমানোর কথা ছিল এবং, পার্কার সোলার প্রুফ সেটি সফলভাবে সম্পন্ন, করেছে পার্কার সোলার প্রুফ ভিনাসের, সর্বশেষ ফ্লাইবাটি সম্পন্ন করে 2024 সালের, 6ই নভেম্বর এই ফ্লাইবা এর মাধ্যমে পার্কার, সোলার প্রোফের অরবিট এমন শেপ নিয়েছে যে, প্রোফটি যখন প্যারাহিলিয়ন অংশে যাবে তখন, সেই অংশটি সূর্যপৃষ্ঠ থেকে মাত্র 61 লক্ষ, কিলোমিটার উপরে থাকবে এবং সেখানে, স্পেসক্রাফট এর গতি হবে সেকেন্ডে 192, কিলোমিটার সর্বশেষ ফ্লাইওয়ের 48 দিন পর, অর্থাৎ 24শে ডিসেম্বর পার্কার সোলার প্রুফ, প্যারাহিলিয়ন অংশে পৌঁছে এবং নতুন রচনা, করে অর্থাৎ কাঙ্খিত বেগ অর্জন করে সেই, সাথে সূর্যের সবচেয়ে কাছে যায় এখন আপনার, মনে প্রশ্ন আসতে পারে সূর্য পৃষ্ঠ থেকে 61, লক্ষ কিলোমিটার উপরে এটা তো খুবই বিশাল, দূরত্ব সূর্যের আশেপাশেও নয় কিন্তু না, সূর্যের সাইজ বিবেচনা করলে এটা মোটেও, বিশাল দূরত্ব নয় আমরা যদি পৃথিবী এবং, সূর্যের মধ্যবর্তী দূরত্বকে এক মিটার, বিবেচনা করি তবে পার্কার সোলার প্রুফ, সূর্যের চার সেন্টিমিটার কাছে গিয়েছিল, তাহলে বুঝতেই পারছেন সূর্যের বিবেচনায় 61, লক্ষ কিলোমিটার খুব বেশি দূরত্ব নয় এমনকি, এই দূরত্ব সূর্যের অ্যাটমোস্ফিয়ারের, মধ্যেই পড়ে আমাদের পৃথিবীর, অ্যাটমোস্ফিয়ারে যেমন বিভিন্ন লেয়ার, রয়েছে ঠিক সূর্যের অ্যাটমোস্ফিয়ারেও, লেয়ার রয়েছে এবং সেগুলো হচ্ছে, ফটোস্ফিয়ার ক্রোমোস্ফিয়ার এবং করোনা এর, মধ্যে করোনা সূর্যপৃষ্ঠের আড়াই হাজার, কিলোমিটার উপর থেকে প্রায় 80 লক্ষ, কিলোমিটার উপরে পর্যন্ত বিস্তৃত এখন, পার্কার সোলার প্রোপ সূর্যপৃষ্ঠ থেকে 61, লক্ষ কিলোমিটার উপরে গিয়েছে অর্থাৎ, সূর্যের অ্যাটমোস্ফিয়ারে প্রবেশ করেছে যা, সূর্যকে স্পর্শ করার সাথে তুলনা করা যেতে, পারে এবং এজন্যই বলা হচ্ছে বার্কার সোলার, প্রুফ সূর্যকে স্পর্শ করেছে এখানে একটি, অদ্ভুত বিষয় উল্লেখ করি সূর্যপৃষ্ঠের, তাপমাত্রা 5500 ডিগ্রি সেলসিয়াস এখন একটু, অনুমান করুন তো সূর্যের অ্যাটমোস্ফিয়ারে, থাকা লেয়ার গুলোর তাপমাত্রা কেমন হবে, সাধারণভাবে চিন্তা করলে সূর্যপৃষ্ঠ থেকে, উপরে গেলে তাপমাত্রা কমে আসবে কিন্তু, বাস্তবতা সেটা বলে না এই গ্রাফ থেকে দেখা, যাচ্ছে ফটোস্ফিয়ার এবং ক্রোমোস্ফিয়ারের, তাপমাত্রা মোটামুটি 2000 ডিগ্রি সেলসিয়াস, কিন্তু করোনার তাপমাত্রা কয়েক লক্ষ, ডিগ্রি সেলসিয়াস এমনকি তা 10 লক্ষ ডিগ্রি, সেলসিয়াস তাপমাত্রার বেশিও হতে পারে যা, খুবই অস্বাভাবিক একটি বিষয় এরকম, অস্বাভাবিক বিষয়সহ সূর্যের আরো বিভিন্ন, বিষয় বুঝতেই লঞ্চ করা হয়েছিল নাসাস, পার্কারস সোলার প্রুফ এখন এই পার্কার, সোলার প্রুফ এর মাধ্যমে কি কি নতুন বিষয়, উন্মোচিত হয়েছে সেই বিষয়গুলো জানা, প্রয়োজন তবে এর আগে পার্কার সোলার প্রুফ, লক্ষ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার করোনাতে, গিয়ে কিভাবে টিকে থাকলো সেই সাথে এতে কি, কি সাইন্টিফিক ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা, হয়েছে সেই বিষয়গুলো বলা যাক, পার্কার সোলার প্রবে চার ধরনের সাইন্টিফিক, ইন্সট্রুমেন্ট রয়েছে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক, ফিল্ডস ইনভেস্টিগেশন সংক্ষেপে ফিল্ডস, ইন্টারোগেটেড সাইন্স ইনভেস্টিগেশন অফ দা, সান সংক্ষেপে আইসোস ওয়াইল্ড ফিল্ড ইমেজার, ফর সোলার প্রুফ সংক্ষেপে উইস্পার সোলার, উইন্ড ইলেকট্রনস আলফাস এন্ড প্রোটনস, সংক্ষেপে সুইপ এখন এই সকল ইন্সট্রুমেন্ট, গুলো সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রথমত, করোনার এক্সট্রিম তাপমাত্রা থেকে এদেরকে, সুরক্ষিত রাখতে হবে দ্বিতীয়ত সক্রিয়, রাখার জন্য পাওয়ার সাপ্লাই এর ব্যবস্থা, করতে হবে আগেই বলেছি করোনার তাপমাত্রা, কয়েক লক্ষ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে, থাকে এখন এমন এক্সট্রিম তাপমাত্রা থেকে, সাইন্টিফিক ইন্সট্রুমেন্ট রক্ষা করার জন্য, পার্কার সোলার প্রোভে রয়েছে হিট শিল্ড যা, মূলত কার্বনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে, এবং এই হিট শিল্ড অংশটি সবসময় সূর্যের, দিকে মুখ করে রাখা হয়েছে প্রোভস যখন, সূর্যের সবচেয়ে কাছে যাবে তখন হিট, শিল্ডের তাপমাত্রা দাঁড়াবে 1400 ডিগ্রি, সেলসিয়াস তবে হিট শিল্ডের পেছনে থাকা, সাইন্টিফিক ইন্সট্রুমেন্ট গুলোর তাপমাত্রা, থাকবে মাত্র 29 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাহলে, বুঝতেই পারছেন সাড়ে চার ইঞ্চির এই হিট, শিল্ড কতটা তাপমাত্রা আটকে দিবে এর বাইরে, হিট শিল্ডের সামনের অংশে সাদা কোডিং রাখা, হয়েছে যেন এটি যতটা সম্ভব সানলাইট, প্রতিফলিত করতে পারে এখন আপনার মনে প্রশ্ন, আসতে পারে যে বলা হচ্ছে করোনার তাপমাত্রা, 10 থেকে 20 লক্ষ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত, হতে পারে সেখানে হিট শিল্ডের ফ্রন্ট, সাইডের তাপমাত্রা কেন মাত্র 1400 ডিগ্রি, সেলসিয়াস হবে আসলে করোনাতে থাকা, পার্টিকেলের ঘনত্ব খুবই কম করোনার ঘনত্ব, আমাদের পৃথিবীর বাতাসের তুলনায় 10, বিলিয়ন কম তার মানে লক্ষ ডিগ্রি, সেলসিয়াস তাপমাত্রার খুবই সামান্য, পার্টিকেল হিট শিল্ড কে আঘাত করবে যার ফলে, হিট শিল্ডের তাপমাত্রা 1400 ডিগ্রি, সেলসিয়াস এর বেশি হবে না এরপরের বিষয়, হচ্ছে সাইন্টিফিক ইন্সট্রুমেন্ট এর জন্য, পাওয়ার সাপ্লাই করা সেক্ষেত্রে সোলার, প্যানেল ব্যবহার করা হয়েছে তবে এক্ষেত্রে, সোলার প্যানেল এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেন তা প্রয়োজন অনুযায়ী সানলাইটে আসতে, পারে আবার পরবর্তীতে ফোল্ড হয়ে হিট, ফিল্ডের ছায়াতে চলে যেতে পারে এমনটা করার, কারণ হচ্ছে সূর্যের কাছে যাবার ক্ষেত্রে, সোলার রেডিয়েশনের পরিমাণ পৃথিবীর প্রায়, 500 গুণ হবে এখন এমন অবস্থায় সোলার, প্যানেল যদি সার্বক্ষণিক সূর্যের আলোতে, উন্মুক্ত থাকে তবে তা সহজেই ওভারলোড হয়ে, যাবে এবং এরপর নষ্ট হয়ে যাবে যার ফলে, এটিকে হিট শিল্ডের ছায়াতে নেয়ার, ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তবে সোলার প্যানেলের, শেষের অংশ এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন, সেই অংশটি সার্বক্ষণিক হালকা সূর্যের আলো, সংস্পর্শে থাকে এবং এমন ক্ষেত্রে সেই, অংশটি বেশি গরম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা, রয়েছে এবং এই সমস্যার সমাধানের জন্য, ওয়াটার কুলিং সিস্টেম রাখা হয়েছে এবং, এটি হচ্ছে প্রথম কোন স্পেসক্রাফট যার, সোলার প্যানেলে কুলিং সিস্টেম রাখা হয়েছে, এবার সাইন্টিফিক ইন্সট্রুমেন্ট গুলোর, কোনটি কি কাজ করবে সে সম্পর্কে বলা, যাক ফিল্ডস এটি সূর্যের অ্যাটমোস্ফিয়ারের, ইলেকট্রিক এবং ম্যাগনেটিক ফিল্ড পরিমাপ, করবে এক্ষেত্রে স্পেসক্রাফট এর সামনে দুই, মিটার লম্বা চারটি অ্যান্টেনা রয়েছে এই, অ্যান্টেনা গুলো স্পেসক্রাফট এর চারপাশের, ইলেকট্রিক ফিল্ড পরিমাপ করবে পেছনের দিকে, থাকবে পঞ্চম অ্যান্টেনা যা ইলেকট্রিক, ফিল্ডের হাই ফ্রিকোয়েন্সির থ্রিডি পিকচার, তৈরি করতে সহায়তা করবে পেছনের, অ্যান্টনাতে আবার ম্যাগনেটোমিটার যুক্ত, রয়েছে যা সময়ের সাথে সাথে ম্যাগনেটিক, ফিল্ডের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করবে আইসোস, এটি এনার্জেটিক ইলেকট্রন প্রোটন এবং হেভি, আয়নস পর্যবেক্ষণ করবে এই এনার্জেটিক, পার্টিকেল গুলোই মূলত সৌরঝড়ের সময়, পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ড কে প্রভাবিত করে, হুইসপার এটি একটি অপটিক্যাল টেলিস্কোপ যা, করোনার মধ্য দিয়ে যাবার সময় করোনার ইমেজ, ক্যাপচার করবে এর মাধ্যমে করোনাতে সংঘটিত, বিভিন্ন বিষয়ের ইমেজ পাওয়া যাবে সুইপ, এটি সৌর ঝরে থাকা ইলেকট্রন প্রোটন এবং, হিলিয়াম আয়নের বিভিন্ন প্রপার্টি যেমন, বেগ ঘনত্ব তাপমাত্রা ইত্যাদি পরিমাপ করবে, এই সাইন্টিফিক ইন্সট্রুমেন্ট গুলো হিট, শিল্ডের ছায়ার মধ্যে থাকলেও দুইটি জিনিস, কিন্তু সরাসরি সূর্যের রেডিয়েশন বা আলোর, সামনে থাকবে যার একটি হচ্ছে ফিল্ডের সামনে, থাকা চারটি অ্যান্টেনা এবং দ্বিতীয়টি, হচ্ছে সুইপের একটি অংশ যাকে বলা হচ্ছে, সোলার প্রুফ কাপ বা এসপিসি এখন এই দুইটি, যন্ত্র যেহেতু উচ্চ তাপমাত্রার সম্মুখীন, হবে ফলে এগুলোকে এমন ম্যাটেরিয়াল দিয়ে, তৈরি করা হয়েছে যেন তারা উচ্চ তাপমাত্রা, সহ্য করতে পারে যেমন অ্যান্টেনা তৈরিতে, ব্যবহার করা হয়েছে নিউভিয়াম অ্যালয় যার, গলনাঙ্ক 2477 ডিগ্রি সেলসিয়াস যাই হোক, এবার পার্কারস সোলার প্রুফ থেকে এখন, পর্যন্ত কি কি জানা গেল সেই বিষয়গুলো বলা, যাক স্পেসে সংঘটিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ড যেমন, ধূমকেতুর সংঘর্ষ অ্যাস্ট্রয়েড গ্রহ তৈরি, হওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে স্পেসের, ডাস্ট তৈরি হয় যাকে বলা হয় কসমিক ডাস্ট, এবং স্পেসের সবখানেই এই ডাস্টের উপস্থিতি, লক্ষ্য করা যায় এসকল ডাস্টে সূর্যের আলো, প্রতিফলিত হয় এর ফলে পৃথিবীতে থেকেও এসকল, ডাস্ট দেখা যায় অর্থাৎ অন্ধকার রাতে, পরিষ্কার আকাশকে হালকা গ্লো করতে দেখা, যায় এটা ঘটে মূলত কসমিক ডাস্টের ফলে এবং, এ বিষয়টিকে বলা হয় জোরিকাল লাইট বহুদিন, যাবত ধারণা করা হচ্ছিল যে সূর্যের তাপ এবং, রেডিয়েশন প্রেসারের ফলে সূর্যের চারিদিকে, একটি ডাস্ট ফ্রি জোন থাকতে পারে অর্থাৎ, সূর্যের তাপের ফলে ওই ডাস্ট বাষ্প হয়ে, যাবে ফলে ওই স্থান জোরে কোন ডাস্ট থাকতে, পারবে না পার্কার সোলার প্রুফ সূর্যের, চারদিকে এই ডাস্ট ফ্রি জোনের এভিডেন্স, পেয়েছে পৃথিবী থেকে দেখলে সূর্যের, ম্যাগনেটিক লাইনগুলো সুষমভাবে বা সমহারে, নির্গত হয় বলে মনে হলেও পার্কার সোলার, প্রুফ একটি অদ্ভুত বিষয় লক্ষ্য করে এবং, সেটি হচ্ছে ম্যাগনেটিক লাইন প্রথমে প্রায়, 180 ডিগ্রিতে ঘুরে যায় এবং এরপর আবার 180, ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে হাই এনার্জির প্লাজমা, স্পেসে নিক্ষিপ্ত করে এ বিষয়টিকে, বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন সুইচব্যাক এই, সুইচব্যাক কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক, মিনিটের মধ্যে সংঘটিত হতে পারে আগে মনে, করা হতো সূর্য থেকে সোলার উইন্ড সুষমভাবে, কনস্ট্যান্টলি নির্গত হয় কিন্তু পার্কার, সোলার প্রুফ লক্ষ্য করে সোলার উইন্ডের, ফ্লো ইরেগুলার সোলার উইন্ড যখন পৃথিবীতে, আসে সেক্ষেত্রে পার্টিকেল ফ্লোকে স্ট্রেট, দেখায় কিন্তু পার্কার সোলার প্রুফ লক্ষ্য, করে করোনা থেকে যখন সোলার উইন্ড স্পেসে, ছড়িয়ে পড়ে তখন তা স্পাইরাল শেপে ঘোরে, পার্কার সোলার প্রুফ যখন করোনাতে প্রবেশ, করে তখন লক্ষ্য করে করোনার বাইরের সোলার, উইন্ডের স্পিড বেশি থাকে এবং ম্যাগনেটিক, ফিল্ড কিছু দুর্বল থাকে যার ফলে সেই, পার্টিকেল গুলো স্পেসে নিখিত্ত হতে পারে, বা ছড়িয়ে পড়তে পারে অন্যদিকে করোনার, ভেতরের উইন্ডের ম্যাগনেটিক ফিল্ড, তুলনামূলক শক্তিশালী থাকে যার ফলে সেখানে, সোলার ম্যাটেরিয়ালের গতি কম থাকে এবং, এইজন্য তারা সূর্য থেকে বিচ্ছিন্ন হতে, পারে না অর্থাৎ আবার সূর্যে ফিরে যায় যা, করোনার শেপ দেখলে খুব ভালোভাবেই বোঝা যায়, এখানে সূর্য থেকে কিছু পার্টিকেল বের, হচ্ছে আবার পুনরায় সূর্যে নিক্ষিপ্ত, হচ্ছে এটি হচ্ছে সূর্যকে খুব কাছ থেকে, দেখলে যে সিচুয়েশন দেখা যাবে সেটা এখানে, কিছু কাঠামো দেখা যাচ্ছে যেগুলোকে বলা হয়, সেল এই সেলগুলোতে ভিন্ন তাপমাত্রার, প্লাজমার চক্রাকার মুভমেন্ট চলে এবং এই, সেলগুলোর ক্রিয়ার ফলে এদের উপরে, ম্যাগনেটিক এনার্জিক ফানেল তৈরি হয় এবং, এদের সংযোগস্থল থেকে ম্যাগনেটিক সুইচব্যাক, ঘটে এরকম আরো অনেক বিষয় প্রাথমিকভাবে, পার্কার সোলার প্রুফ থেকে পাওয়া গিয়েছে, এবং ভবিষ্যতে পার্কার সোলার প্রুবের ডাটা, বিশ্লেষণ করে আরো অনেক কিছুই জানা যাবে, পার্কার সোলার প্রোভে কিন্তু একটি মেমোরি, কার্ড রাখা হয়েছে যেখানে 11 লক্ষেরও বেশি, মানুষের নাম রয়েছে আসলে এক্ষেত্রে নাসা, মানুষের কাছ থেকে নাম চেয়েছিল এবং সেই, নাম জমাতের ডেডলাইন ছিল 2018 সালের 27শে, এপ্রিল এই সময়ের মধ্যে যে সকল মানুষ, তাদের নাম সাবমিট করেছেন তাদের সকলের নাম, পার্কার সোলার প্রোভের মেমোরি কার্ডে রাখা, হয়েছে সেই সাথে এই মেমোরি কার্ডে ইউজ ইন, পার্কারের ছবি রাখা হয়েছে এবং তার 1958, সালের সাইন্টিফিক পেপার রাখা হয়েছে, পার্কার সোলার প্রোফ 2025 সালের 22শে, মার্চ 19শে জুন 15ই সেপ্টেম্বর এবং 12ই, ডিসেম্বর আবার সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি, যাবে তবে এর মধ্যে 22শে মার্চ এবং 19শে, জুন সফলভাবে সূর্যের পাশ দিয়ে ফ্লাইবাই, করতে পারে পার্কার সোলার প্রুফ মিশনের, সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে অর্থাৎ এরপর, পার্কার সোলার প্রুফটিকে 180 ডিগ্রিতে, ঘোরানো হবে তার মানে সাইন্টিফিক, ইন্সট্রুমেন্ট গুলো সূর্যের আলোর দিকে করা, হবে এতে সূর্যের তাপের ফলে ইন্সট্রুমেন্ট, গুলো গলে যাবে তবে তখনও কিন্তু হিট শিল্ড, অক্ষত থেকে যাবে এবং এটি পরবর্তী কোটি, কোটি বছর এই উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যকে, প্রদক্ষিণ করে, যাবে